নগরকান্দায় ধর্ষন মামলার আসামিকে এক দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠালেন থানা পুলিশ
মিজানুর রহমান
নগরকান্দা (ফরিদপুর) প্রতিনিধিঃ ফরিদপুরের নগরকান্দা থানায় ধর্ষন মামলার অভিযোগে আটক হাবিবুর রহমান হারুনকে ২ অক্টোবর একদিনের রিমান্ড শেষে ৩ অক্টোবর সকালে ফরিদপুর কারাগারে প্রেরন করে নগরকান্দা থানা পুলিশ।পুলিশ ৭দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করলে আদালত ১দিনের রিমান্ড মন্জুর করে।
ফরিদপুরের নগরকান্দায় ২৬ সেপ্টেম্বর ধর্ষন মামলার অভিযোগে হলুদ সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা পরিচয়কারী হাবিবুর রহমান হারুনকে আটক করে নগরকান্দা থানা পুলিশ।
অভিযোগ সুত্রে জানা যায়,পত্রিকায় চাকরি দেওয়ার নামে হাবিবুর রহমান হারুনের বাসায় নিয়ে সুচিত্রা খান দিপিকা (২২)নামে এক যুবতি মেয়েকে জোরপূর্বক রেফ করে।ধর্ষিতা নারী সুচিত্রা খান দিপিকা বাদী হয়ে নগরকান্দা থানায় একটি ধর্ষন মামলার অভিযোগ করেন।নগরকান্দা থানার মামলা নং ২৫ তারিখ ২৬/০৯/২০২০ ইং। অভিযোগের ভিত্তিতে নগরকান্দা থানার সহকারী পুলিশ সুপার (সর্কেল)এফ এম মহিউদ্দিন, নগরকান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা,নগরকান্দা থানার ওসি তদন্ত মিরাজ হোসেন এর নির্দেশে মামলার তদন্ত কারী উপ-,পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান অভিযান চালিয়ে সকাল ৯ টার সময় হাবিবুর রহমান হারুনের নিজ বাড়ি উপজেলা ফুলসুতী ইউনিয়নের সলিথা গ্রাম থেকে আটক করে।
পত্রিকার সুবাদে ঢাকায় পরিচয় হাবিবের সাথে সে সময় হাবিবের দৈনিক একুশের বানী পত্রিকায় চাকরির কথা বলে তার নিজ বাসায় দিপিকাকে ধর্ষন করে বলে বলেন।দিপিকা আরও বলেন শুধু হাবিব নয় পত্রিকার সম্পাদক আশ্রাফ সরকারকে দিয়েও আমাকে ধর্ষন করায়। অনেক নারী এই লম্পট চক্রের হাতে জিম্মি। হাবিবুর রহমান হারুন পুলিশের চাকরি করাকালীন সময় ঢাকা রমনা ফাড়ীতে কর্মরত থাকা অবস্থায় ছিনতাই সহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়ায় পুলিশের চাকরি চলে যায়।
ধর্ষন,প্রতারনা, নারী পাচার সহ বিভিন্ন অপরাধে দেশের বিভিন্ন থানা আদালতে প্রায় অর্ধ শতাধিক জিডি ও ডজন খানিক মামলা রয়েছে। মুক্তিযুদ্ব না করেই নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে দেশব্যাপী অসামাজিক অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হাবিবুর রহমান হারুন কখনো পুলিশের বড় কর্মকর্তা,সাংবাদিক নেতা,মানবাধিকার চেয়ারম্যান, মেজরের বাবা সহ অসংখ্য পরিচয় দিয়ে দেশব্যাপী অসামাজিক অপরাধমূলক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। হাবিবুর রহমান হারুন শহর গ্রাম গন্জের থেকে অর্ধ শিক্ষিত অশিক্ষিত নারী, যুবতী মেয়েদের নিয়ে তার সম্পাদকদের দিয়ে সাংবাদিক বানিয়ে দেশের সম্মানি লোকদের নামে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করে মামলা দিয়ে ফাসীয়ে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ার অভিযোগ রয়েছে এই হাবিবের বিরুদ্ধে।
বীর বিক্রম হাবিবুর রহমান হারুন টাংগাইল তার নাম রেজিষ্ট্রেশন ১৬৮/৯৮ ব্যবহার করে ভিজিটিং কার্ড ছাপিয়ে নিজেকে বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করে দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের কলংকের কালিমা লেপন করছে।ঢাকা মাদারটেক চৌরাস্তার পাশে পাবনা গলি ৩২ এ কাজির ভিলার নিচ তলায় বাসা ভাড়া নিয়ে এসকল অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। বহুরূপী হাবিবুর রহমান হারুন কে পুলিশে আটক করে জেলখানায় পাঠানো জন্য স্হানীয় সাংবাদিক, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধারা মিস্টি মুখ করেন।মামলার তদন্তকারী এস আই আক্তারুজ্জামান বলেন হাবিবুর রহমান হারুন কে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে,তবে আসামির বিরুদ্ধে এখনো তদন্ত প্রক্রিয়াধীন