অবশেষে করোনা টেস্ট কেলেঙ্কারির হোতা ডা. সাবরিনা গ্রেফতার
বাণী রিপোর্ট : করোনা টেস্ট কেলেঙ্কারির হোতাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। করোনা ভাইরাসের টেস্ট না করেই রিপোর্ট দেয়ায় জেকেজি হেলথ কেয়ারের চেয়ারম্যান ও সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে কর্মরত ডা. সাবরিনা চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে তাকে গ্রেফতারের পর তেজগাঁও বিভাগীয় উপ-পুলিশ (ডিসি) কার্যালয়ে আনা হয়। সেখানে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পুলিশ তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চাচ্ছে।
করোনা টেস্ট নিয়ে প্রতারণার অভিযোগে ইতোমধ্যে জেকেজি হেলথ কেয়ারের প্রধান নির্বাহী ডা. সাবরিনা’র স্বামী আরিফ চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরো পড়ুনঃসাড়ে ১৫ হাজার ভুয়া করোনা টেস্টে প্রায় ৮ কোটি টাকা আত্নসাৎ করেছে জেকেজি।
পুলিশ জানিয়েছে, জেকেজি হেলথকেয়ার থেকে ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনার আইইডিসিআরের মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ রিপোর্ট প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপে তৈরি করা হয়। জব্দ করা ল্যাপটপে এর প্রমাণ মিলেছে। আরিফ চৌধুরীকে জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশকে জানান, জেকেজির ৭-৮ কর্মী ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করেন।
জেকেজির মাঠকর্মীরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে করোনা উপসর্গ দেখা দেয়া মানুষের নমুনা সংগ্রহ করতেন। প্রতি রিপোর্টে ৫-১০ হাজার টাকা নেয়া হতো। আর বিদেশিদের কাছ থেকে নেন ১০০ ডলার। সেই হিসাবে করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্টে প্রায় ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জেকেজি।
আরিফ গ্রেফতার হওয়ার পর ডা. সাবরিনা গ্রেফতার-আতঙ্কে গা ঢাকা দেন। আড়ালে ‘অদৃশ্য শক্তির’ ইশারায় দায়মুক্তির চেষ্টায় ছিলেন তিনি।
করোনা মহামারীতে মানুষের জীবন নিয়ে নির্মম প্রতারণায় নাম উঠে আসা ডা. সাবরিনা এ চৌধুরী সরকারি একটি হাসপাতালে চাকরির পাশাপাশি জেকেজির চেয়ারম্যান।
তিনি জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিকিৎসক। পাশাপাশি তিনি জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান। আর তার স্বামী আরিফ চৌধুরী প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।