প্রথমে লিখাটির শিরোনাম করতে চয়েছিলাম ধর্ষণ ধর্ষণ অতঃপর ধর্ষণ।এ শিরোনাম কে সামনে রেখেই কলম ধরা কিন্তু হায় অল্প কিছু দূর লেখতেই লজ্জা, ভয়, শংশয় আমার হাতকে থামিয়ে দিল।
সেদিন আমরা নিরব থাকব না সরবই থাকব।কেন জানেন? এ ধরনের জগন্য অপরাধ আমাদের পরিবারের কোন না কোন সদস্যের সাথে হয়েছে। যত দিন না কোন সমস্যা আমাদের উপরে এসে না বর্তাবে ততদিন নিরব দর্শকের ভূমিকায় দেখে যাওটাই আমাদের এক প্রকারের স্বভাবজাত ব্যপার হয়ে দাঁড়িয়েছে ( অবশ্য আমি সবার কথা বলছি না কেবল অন্যায়ের প্রতিবাদে যারা আওয়াজ তুলতে অক্ষম তাদের কথাই বলছি)।
বিদেশের মাটিতে অবস্হান করে যখন শুনতে পাই আমার জন্মভূমিতে আমারই মা বোন ধর্ষিতা হয় তখন লজ্জায় আমরা মুখ দেখাতে পারি না।চারদিকে করোনা ভাইরাসের ভয়াবহ সংক্রমণ। লক্ষ লক্ষ মানুষ বেকারত্ব বরণ করেছে, অনাহারে না খেয়ে দিনাতিপাত করছে। যেই সময় আমাদের সকালের ঘুম ভাঙ্গে মৃত্যু সংবাদ শুনে সেই সময় এই ধরনের বর্বরতা আমাদের চিন্তার জঠৎকে অন্ধকারে নিমজ্জিত করে রাখে। সভ্য দেশের মধ্যে কেন এত অসভ্যতা কেন এত বর্বরতা?
ধর্ষণ বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নতুন কিছু নয় এটা ততীত থেকে চলে আসা এক ভয়াবহ মহামারী।এই বয়াবহতার শিকার হয়ে আবারও একটা প্রাণ গেল। কিন্তু কেন? এজন্য আমি যদি বলি আইনের অপব্যবহার, দুর্নীতি, সরকারের সদিচ্ছার অভাব তাহলে কি ভুল হবে?
অনতিবিলম্বে এ হত্যাকাণ্ডের বিচার হবেই হবে হতেই হবে। শুধু হিরা মনি নয় এ পর্যন্ত যতগুলো ধর্ষণ হয়েছে যতগুলো খুন হয়েছে সব গুলোর সঠিক বিচার দাবি করছি।একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হিসেবে দেশের একজন সুনাগরিক হিসেবে বিচার চাওয়ার অধিকার আমার আছে। আমি সেই আধিকারের দাবিতেই বলছি ধর্ষণের বিচার অনতিবিলম্বে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করুন।