ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৯ বছরের শিশু ধর্ষণের শিকার
বাণী ডেস্কঃ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে ৯ বছরের এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই ঘটনার পর মেয়েটির মা রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ওই ধর্ষককে থানায় দেখে শিশুটি চিহ্নিত করলে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।ধর্ষণের শিকার ওই শিশু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে।
আটক হওয়া ধর্ষক হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার মৃত ঈমান আলীর ছেলে লিটন মিয়া (২৮) পেশায় রিকশাচালক।পুলিশের কাছে আটক নিজের রিকশা ছাড়ানোর জন্য লিটনও তখন থানায় ছিল। ওই শিশুটি লিটনকে দেখে পুলিশকে জানালে সাথে সাথে তাকে আটক করা হয়।
ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটির পরিবার আশুগঞ্জের সোনারামপুর এলাকার একটি চাতালকলে কাজ করেন। তাদের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার নীলক্ষি আফানিয়া গ্রামে। বিকেলে চাতালকলের পাশে শিশুটি খেলা করছিল। এ সময় শিশুটির বড় ভাইয়ের বন্ধু লিটন প্রলোভন দেখিয়ে চাতালকলের পাশে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে। ওই শিশুর এক সহপাঠী তার পরিবারকে জানায়, শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় ধান ক্ষেতে পড়ে আছে।
এ খবর পেয়ে শিশুটির মা রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।আশুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাবেদ মাহমুদ জানান, শিশুটিকে থানায় আনার পর রক্তপাত দেখে আমরা দ্রুত তাকে সদর হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করি।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে আসার সময় শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়।প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় চিকিৎসকের পরামর্শে দৈনিক যুগান্তর ও যমুনা টেলিভিশনের সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম শিশুটিকে রক্ত দেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, শিশুটির অবস্থা খুবই খারাপ। তার যৌনাঙ্গ দিয়ে প্রচুর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। গাইনি কনসালটেন্টের তত্ত্বাবধানে শিশুটির চিকিৎসা চলছে।