নরসিংদীতে করোনা উপসর্গে শ্রমিকের মৃত্যু, দাফনে বাধা
বাণী রিপোর্ট : নরসিংদী সদর উপজেলায় চরাঞ্চল আলোকবালীতে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে সুলতানা বেগম (৩৫) নামের এক পোশাক শ্রমিক মৃত্যু হয়েছে। সুলতানা বেগম নারায়ণগঞ্জের একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন।
স্বজনরা জানান, কয়েকদিন ধরে জ্বর-কাশিতে ভুগছিলেন সুলতানা। নারায়ণগঞ্জ লকডাউন ঘোষণার পর বন্ধ হয়ে যায় পোষাক-কারখানা। বুধবার (৮ এপ্রিল) শ্বাসকষ্ট শুরু হলে রাতে নারায়ণগঞ্জ থেকে নরসিংদীর আলোকবালী এলাকায় নিজ বাড়িতে চলে আসেন সুলতানা। আজ বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) তাঁর শ্বাসকষ্ট আরো বেড়ে যায়। পরে স্থানীয় বটতলী এলাকার এক চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার পরপরই সুলতানা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।
পরে মরদেহ তাঁর স্বামীর বাড়ি কাজিরকান্দি গ্রামে নেয়া হয়। কিন্তু করোনার উপসর্গ থাকায় গ্রামের লোকজন সুলতানাকে স্বামীর বাড়ির এলাকায় দাফন করতে দেয়নি।
পরে লাশ নিয়ে আবারও আলোকবালীর উদ্দেশে রওনা দেন স্বজনরা। আলোকবালী নৌঘাটে আসার পর মরদেহ নৌকায় ফেলে রাখা হয়। কেউ লাশ ধরতে রাজি হচ্ছেন না।
নরসিংদীর সিভিল সার্জন ডা. মো. ইব্রাহিম টিটন বলেন, ওই নারীর উপসর্গ দেখে করোনায় আক্রান্ত বলে মনে হচ্ছে। নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হচ্ছে। রিপোর্ট পাওয়ার পর জানা যাবে তিনি আক্রান্ত ছিলেন কি না।
এদিকে নারায়ণগঞ্জ থেকে আরো দুই পোশাক শ্রমিক নরসিংদীর হাজিপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে এলে গ্রামের মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এরপর পুলিশে খবর দেয়া হলে দুজন পালিয়ে যান।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতিতে রায়পুরার শাহপুর গ্রামসহ আশেপাশের পাঁচটি গ্রাম, ডৌকারচরের একটি গ্রাম ও পলাশ উপজেলার ইসলামপাড়া গ্রাম লকডাউন করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ২৩১ জন হোম কোয়ারেন্টিনে রয়েছে বলে জানা গেছে।