করোনা আতংকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে কমেছে রোগীর সংখ্যা
বাণী রিপোর্ট: প্রতিদিন পাঁচশত থেকে ছয়শত রোগী চিকিৎসা সেবা নিতে আসত নরসিংদী সদর হাসপাতালে, এখন চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে গড়ে মাত্র ১৫০ জন। ১০০ শয্যা বিশিষ্ট এই হাসপাতালটিতে কমেছে ভর্তি রোগীর সংখ্যাও। করোনা ভাইরাস আতংকে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, বর্হিবিভাগে চিকিৎসক আছেন, নেই কোন রোগী। দন্ত বিভাগের সামনে বসে আছেন কয়েকজন রোগী। কিছুদিন পূর্বেও টিকেট কাউন্টারে থাকত আগত রোগীদের লম্বা লাইন। সেখানে সেবা নিতে আসা কোন রোগীর ভীড় নেই। হাসপাতালটির জরুরী বিভাগে কয়েকজন রোগীকে করোনা আতংকে সুরক্ষা পোশাক (পিপিআই) পড়ে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় রয়েছে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ড। তিনটি ওয়ার্ডে সব মিলিয়ে ভর্তি রোগী সংখ্যা মাত্র ২০জন।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, নরসিংদী শহরের ১০০ শয্যার এই হাসপাতাল যেখানে বহির্বিভাগে প্রতিদিন গড়ে চিকিৎসা নিতেন পাঁচশত থেকে ছয়শত রোগী। করোনা আতংকে সেখানে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছেন মাত্র একশত থেকে একশত পঞ্চাশ জন রোগী। আর গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ছিল গড়ে প্রতিদিন নব্বই থেকে একশত জন। সেখানে পুরুষ, মহিলা ও শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীর সংখ্যা মাত্র ২০ জন। করোনা আতংকের কারণেই অন্যান্য রোগীরা হাসপাতালে আসছেন না বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ আমিরুল হক শামীম বলেন, সারাবিশ্বেই এখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমন দেখা দিয়েছে। প্রবাসীদের কেউ কেউ দেশে চলে আসছেন এই ভাইরাস নিয়ে। আইইডিসিআর এর মাধ্যমে করোনা রোগী সনাক্ত হয়েছে বাংলাদেশেও। সাধারণ রোগীরা হাসপাতালে আসতে ইতস্ততা বোধ করছেন করোনা আতংকে। টিউমারসহ যেসব রোগীদের পরে অপারেশন করলেও চলবে। তারা হাসপাতাল এড়িয়ে চলছেন। হাসপাতালে সব ধরনের রোগী আসেন, যার ফলে হাসপাতালে গেলে করোনায় আক্রান্তের সম্ভাবনা আছে, তাদের মধ্যে এমন আতংক কাজ করছে। তবে হাসপাতালে যেসব রোগী সর্দি, কাশি, জ্বর, শ্বাসকষ্টর অথবা বমি এমন রোগীগুলোকে আলাদা ট্রায়েস রুমে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছি।