নরসিংদীর আমদিয়ায় বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলে চেয়ারম্যান বাহিনীর হামলা ও বাঁধা প্রদান
বাণী রিপোর্ট: নরসিংদীর আমদিয়া ইউনিয়নের প্রভাবশালী চেয়ারম্যান এর লাঠিয়াল বাহিনীর হামলা ও বাধাঁর মুখে বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান করতে পারেনি প্রার্থীরা। মনোনয়ন দাখিলে প্রার্থীদের উপর হামলা ও বাধাঁর শিকার হয়ে প্রতিকারের আশায় বঞ্চিত প্রার্থীরা নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
নরসিংদী সদর উপজেলার আমদিয়া ইউনিয়নের বনাইদ বাবু মিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিলের নির্ধারিত দিন ছিল
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি)। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়া রিপন সমর্থিত প্রার্থীদের হামলায় প্রতিপক্ষ প্যানেলের সদস্যরা মনোনয়নপত্র দাখিল করতে পারেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করতে আসা ভুক্তভোগী আরমান মিয়া জানান, আমি একজন দাতা, সকালে আমিসহ জয়নাল আবেদীন ও মেহেদী হাসান হানিফ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাদ্দেক হোসেনের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে যাই। এসময় রিপন চেয়ারম্যানের প্যানেল সমর্থিত লোকজন আমাদের কাছ থেকে মনোনয়নপত্র ছিনিয়ে নিয়ে কিল, ঘুষি ও মারধর করে বিদ্যালয় থেকে টেনে হেঁচড়ে বের করে দেয়। বিদ্যালয়ের আশেপাশে আমাদের লোকজনকে দেখলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। এসময় তারা তাদের সমর্থিত লোকজন বিদ্যালয়ের ভেতরে ঢুকিয়ে সকাল থেকে বেলা তিনটা পর্যন্ত বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাখে। চেয়ারম্যানের লাঠিয়াল বাহিনীর বাধাঁ ও হামলার মুখে কেউ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও জমাদান করতে পারেনি।
এ ব্যাপারে বৃহস্পতিবার বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তাসলিমা আক্তারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোছাদ্দেক হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমার সামনেই উভয়পক্ষ হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। সকাল থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত মোট এগারোটি মনোনয়নপত্র বিক্রি হলেও নয়টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছে।
আমদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজিমুদ্দিন ভূঁইয়া রিপন হাতাহাতির ঘটনা অস্বীকার করে বলেন, এ ধরনের কোন ঘটনা ঘটেনি। মনোনয়নপত্র সংগ্রহ কিংবা জমাদানে কাউকে বাঁধা দেওয়া হয়নি।
মাধবদী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শিবলী মীর কায়েস বলেন, বিদ্যালয়ের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মনোনয়নপত্র জমাদানে বাঁধা প্রদানের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক তালাবদ্ধ অবস্থায় দেখতে পাই। তবে এখানে হাতাহাতি ছাড়া তেমন কোন অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তাসলিমা আক্তার বলেন, আমরা একটি অভিযোগ পেয়েছি, অভিযোগটি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।