মাধবদীতে যুবক হত্যার অভিযোগে ১ জন আটক
বাণী রিপোর্ট:
নরসিংদীর মাধবদীতে জোরপূর্বক বিষাক্ত ক্যামিকেল জাতীয় তরল পান করিয়ে মেহেদী হাসান (২১) নামে এক যুবককে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইয়াছিন (১৯) নামে একজনকে গ্রেফতার করেছে মাধবদী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিহতের পিতা হোসেন আলীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঝিরকুটিয়া গ্রামের শরাফত আলীর ছেলে ইয়াছিন (১৯) কে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অভিযোগে জানা যায়, মেহেদী হাসান গত মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাত বারোটার দিকে ওয়াজ শুনে ঝিরকুটিয়া গ্রামে তার বাড়ী ফিরছিলো। পথে মাধবদী থানাধীন শ্যামতলী ঈদগাহের নিকট পৌঁছলে আসিফ, সুজন, আব্দুল্লাহ ও ইয়াছিনসহ আরো ৬/৭ জনের সংঘবদ্ধ দল তার গতিরোধ করে এলোপাতারি মারপিট করে। পরে তাকে মাটিতে শুইয়ে জোরপূর্বক বিষাক্ত ক্যামিকেল জাতীয় তরল পান করতে বাধ্য করে এবং অচেতন অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। স্থানীয় জনৈক শরীফ মিয়ার মাধ্যমে পরিবারের লোকজন খবর পেয়ে মুমূর্ষ অবস্থায় মেহেদী হাসানকে উদ্ধার করে তাকে প্রথমে আড়াইহাজার হাসপাতালে ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মেহেদী হাসান চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফেরার পর এ ঘটনায় মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) মাধবদী থানায় অভিযোগ দেন পিতা হোসেন আলী। এতে ৪ জনের নাম উল্লেখ করে আরো ৬/৭ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়।
আসামিরা হলো, নরসিংদীর মাটিয়াল কান্দা গ্রামের মতি মিয়ার ছেলে আসিফ (১৮), জামাল উদ্দিনের ছেলে সুজন (২০), দড়িকান্দি গ্রামের কামাল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল্লাহ (২০) ও ঝিরকুটিয়া গ্রামের সফর আলীর ছেলে ইয়াছিন (২১) সহ অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জন।
এদিকে থানায় অভিযোগ দেয়ার পর সন্ধ্যায় পুনরায় মেহেদী হাসান অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে দশটায় তার মৃত্যু হয়।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র পাল বলেন, অভিযোগ পেয়ে রাতেই একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাছাড়া নিহতের লাশের সুরতহাল রিপোর্ট হাতে পেয়েছি। এ ঘটনায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মাধবী থানার ওসি তদন্ত শাফায়েত হোসেন পলাশ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আসামীদের ধরতে আইনি প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, প্রেমঘটিত বিষয়ে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।