সরকার যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রবর্তন করছে- শিক্ষক পরিবারের মিলন মেলায় শিল্পমন্ত্রী
বাণী রিপোর্ট ঃ শিল্পমন্ত্রী নূরল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেছেন, সরকার যুগোপযোগী শিক্ষা কারিকুলাম প্রবর্তন করছে। শিক্ষাকে আধুনিকায়নে সরকার নানাবিধ কার্যকরি পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষা ব্যবস্থাকে বাস্তবমুখী করতে আনা হচ্ছে আমূল পরিবর্তন।
রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে নরসিংদীর ড্রীম হলিডে পার্কে সুন্দর আগামীর স্বপ্নে নরসিংদীকে মানসম্মত শিক্ষা দেশের শীর্ষে নিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিবারের মিলন মেলা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বে আমাদের নতুন নতুন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়। তাই আমাদের জানতে হবে কীভাবে জীবনব্যাপী শিখতে হয়। এই চাহিদা অনুযায়ী কারিকুলামে পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এজন্য বর্তমান সরকার দেশে আধুনিক ও যুগোপযোগী সঠিক শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করেছে।
মন্ত্রী আরো বলেন, শিক্ষার মান উন্নয়নে সব কিছু করছে সরকার।
বছরের প্রথম দিন শিক্ষার্থীদের হাতে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নতুন বই তুলে দেয়া হচ্ছে। স্কুল কলেজ মাদ্রাসার অত্যাধুনিক ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহে শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবসহ প্রয়োজনীয় শিক্ষা উপকরণ নিশ্চিত করা হয়েছে। সারা দেশে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহের অবকাঠামোগত এবং মানসম্মত শিক্ষার উন্নয়ন ঘটিয়ে সুশিক্ষার পথ প্রশস্ত করা হয়েছে। এ সরকার গণমুখী ও শিক্ষাবান্ধব উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাবান্ধব সরকার। সরকার শিক্ষার উন্নয়নের জন্য যা যা করা দরকার তাই করছে। এই সরকারের অধীনে যত স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা সরকারি হয়েছে অতীতের কোনো সরকারের আমলে তা হয়নি।
নরসিংদী জেলা প্রশাসক সৈয়দা ফারহানা কাউনাইনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, নরসিংদীর পুলিশ সুপার প্রলয় কুমার জোয়ারদার, জেলা শিক্ষা অফিসার গৌতম মিত্র, নরসিংদী সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হাবিবুর রহমান আকন্দ, নরসিংদী সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আলী ও প্রফেসর গোলাম মোস্তফা মিয়া, থার্মেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান আবদুল কাদির মোল্লা, ড্রীম হলিডে পার্কের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষক পরিবারের আহবায়ক নূর হোসেন ভঞা প্রমূখ।
বিগত বছরগুলোতে নরসিংদী জেলা নকশিস এ ধরনের আয়োজন করেছে। আয়োজকরা সফলতা দাবী করলেও অন্যান্য বছরের তুলনায় শিক্ষকদের মিলন মেলা জমে উঠেনি। আয়োজকরা জানায় এবার মাধ্যমিকের প্রায় ১৭ হাজার শিক্ষক ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য আয়োজন করা হয়। তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় এবার অংশগ্রহনকারীর সংখ্যা ছিল কম। আয়োজক কমিটির নেতৃবৃন্দ সকল শিক্ষকদের পরিচিত মুখ নন। দাওয়াতে আন্তরিকতার ঘাটতি রয়েছে। তবে অংশগ্রহনকারীরা সার্বিক সহযোগাীতাকারীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।