বাণী রিপোর্ট: নরসিংদীর ঘোড়াশাল পৌর এলাকায় যৌতুকের টাকার জন্য রিতু বন্যা (১৯) নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে। গত সোমবার (১৬ ডিসেম্বর) রাতে পৌর এলাকার ঘাঁগড়ার কামারটেক গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে ওই গৃহবধূর স্বামী রাকিব মিয়াসহ শশুর-শাশুরী পলাতক রয়েছে। নিহত রিতু বন্যা ঘোড়াশাল খালিসকার টেক গ্রামের মৃত আব্দুল খালেক মিয়ার মেয়ে। অপরদিকে রাকিব মিয়া পাশ্ববর্তী কামারটেক গ্রামের আব্দুল জলিল মিয়ার ছেলে। পুলিশ ও নিহতের পরিবার জানায়, রিতু বন্যা ও রাকিব মিয়া পলাশের প্রাণ ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে একই সঙ্গে কাজ করতেন। কাজের সুবাদে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। বছর খানেক আগে তারা বিয়ে করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই রাকিব ও তার পরিবার বিভিন্ন সময় যৌতুকের টাকার জন্য রিতুকে চাপ দিতে থাকে। এর মধ্যে রিতু কয়েকবার তার বাবার বাড়ি থেকে রাকিবকে টাকাও এনে দেয়। কিন্তু গত কয়েকদিন আগে আবারো ব্যবসার কথা বলে রাকিব ও তার পরিবারের সদস্যরা রিতুর পরিবারের কাছে এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। রিতুর পরিবার দাবিকৃত যৌতুকের এক লাখ টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এরপর থেকে বিভিন্নভাবে রিতুর ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু হয়। এক পর্যায়ে সোমবার রাতে স্বামী রাকিব ও তার পরিবারের সদস্যরা মিলে গৃহবধূ রিতুকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
পলাশ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ নাসির উদ্দিন জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদীর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার পর থেকে গৃহবধূর স্বামীসহ পরিবারের সদস্যরা পলাতক রয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রাজু মিয়া বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।